মেজর ডেক্সটার স্মিথ মুখোশের মধ্যে থেকে অক্টোপাসটাকে শুনিয়ে শুনিয়ে মুখ ফুটেই বললেন, কি জানিস? সুবিধা : করতে পারলে, আজ তোকে একটা জবর ভোজ দেব। মুখোশের কাঁচটা ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। সেটাকে পানিতে চুবিয়ে পরিষ্কার করে নিলেন। রবারের পট্টিটা মাথার ওপর দিয়ে আবার গলিয়ে দিলেন। হেঁট হয়ে ফের মাথা ডোবালেন পানির তলায়। প্রবাল স্কুপের গহ্বরের মধ্যে থেকে ছিটছিট খয়েরি রঙের থলথলে দেহপিণ্ডের ওপরকার জ্বলজ্বলে চোখের দৃষ্টি আগের মতই মেজরের দিকেই নিবদ্ধ। তবে তার ছোট্ট একটা শুড়ের ডগা এখন গর্তের অন্ধকারের বাইরে ইঞ্চি দুয়েক এগিয়ে এসে দুলতে শুরু করেছে। আর রক্ত চোষবার ফুলো ফুলো চাকতি লাগানো দিকটা ওপর দিকে ফিরিয়ে কিসের যেন সন্ধান করতে চেষ্টা করছে। মেজরের মুখে পরিতোষের হাসি। গত দু মাস ধরে তিনি চেষ্টা করছেন অক্টোপাসটার সঙ্গে ভাব জমাতে। মনে হয় আর মাসখানেকের মধ্যেই পোষ মেনে যাবে। কিন্তু সে এক মাস সময় আর পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে, আজকে একবার পরখ করে দেখবেন নাকি? একবার নিজের হাতটা বাড়িয়ে ধরে দেখবেন নাকি কি হয়?