মারবো আমি তোকে, যেন কসাই, ঘৃনার লেশ নেই, শূন্য মন, কিংবা শিলাতটে মুশা যেমন ! তাহলে আখি তোর যদি খসায় আমার সাহারার সান্ত্বনাতে দু:খধারা এক উচ্ছ্বসিত; – আমার অভিলাষ, আশায় স্ফীত সে – লোনা জলে পারে ভাসতে যাতে নোঙর- তুলে- নেয়া তরী যেমন । মাতাল এ হৃদয়ে কান্না তোর শব্দ তুলে করে দিক বিভোর, ঢাকের নাদে যেন আক্রমন ! নই কি আমি এই দিব্য গানে স্বরের অন্বয়ে এক বেসুর, যেহেতু ব্যঙ্গের মুঠি চতুর আমার সত্তারে নিত্য হানে ? আমারই কন্ঠ সে – কি জঞ্জাল ! আমারই কালো বিষ রক্তে মাতে ! আমি সে – উৎকট মুকুর, যাতে আপন মুখ দ্যাখে সে – দজ্জাল ! আমিই চাকা, দেহ আমারই দলি ! আঘাত আমি, আর ছুরিকা লাল ! চপেটাঘাত, আর খিন্ন গাল ! আমিই জল্লাদ, আমিই বলি । ছন্নছাড়া আমি শূন্যবাসী আপন হৃদয়ের রক্ত গিলে, কখনো প্রীত হতে শিখিনি বলে আমার আছে শুধু অট্টহাসি ।