হারামজাদী ছিনাল। বজ্জাত মাগী। খানকী বেইশ্যা। মিঞাবাড়ির কাচারির সুমুখে লম্বালম্বি মাঠ। মাঠের পর মসজিদ। সে মসজিদের সুমুখে বসেছে বাদ জুমা মজলিস। খানিক দূরে দাঁড়ান ঘোমটা ছাড়া একটি মেয়ে। গালিগুলো ওরই উদ্দেশে। এই কসবী হারামজাদী! ঘোমটা দে। ধমকে উঠে ফেলু মিঞা। ফেলু মিঞা শুধু মিঞার বেটা মিঞা নয়, গাঁও মজলিসের কর্তা। তার ধমকে কেঁপে ওঠে মজলিস। আবার দেমাক দেখো না? কিরে খানকি মাগী যারবা পেটে নেবার সময় খেয়াল ছিল না? দেমাগটা তখন কোথায় ছিল? মুনিবের চেয়ে কণ্ঠস্বর আর এক ডিগ্রী চড়া করে খিঁচিয়ে ওঠে রমজান। রমজান শুধু কর্মচারী নয় সব কাজেই ফেলু মিঞার দক্ষিণহস্ত। অতএব, কর্তার রোখ বুঝে তার স্বরের ওঠানামা। তা ছাড়া কানে-কানে চালু কথা, আগাগোড়া ব্যাপারটার পেছনে কাজ করেছে রমজানের পাকা হাত।