জেলে তিন বছর হতে চলছে শ্যাডোর। গায়ে-গতরে যথেষ্ট বড়ো সে, আর ভাবে- ভঙ্গিমাতেও একই রকম ভয়-জাগানিয়া। তাই এখন ঝামেলা বলতে কেবল একটাই—একঘেয়েমি। অবশ্য তা থেকে বের হবার উপায় খুঁজে নিয়েছে ও, দেহকে সুন্দর রাখতে অনেকটা সময় ব্যয় করে; সেই সাথে শেখে পয়সা নিয়ে হাত সাফাইয়ের নানা কাজ। ওহ, আরও একটা কাজ করে: স্ত্রীকে কতটা ভালোবাসে, বসে বসে তাই ভাবে! জেলের থাকার সবচেয়ে ভালো দিক…হয়তো একমাত্র ভালো দিকটা হলো এক ধরনের স্বস্তির মাঝে ডুবে থাকা। এই অনুভূতির জন্ম কিন্তু জেলের পরিবেশে নয়, অন্য কোথাও। কয়েদি হওয়া মানে পদস্খলন হতে হতে জীবনের একেবারে শেষ ধাপে এসে উপস্থিত হয়েছে মানুষ। তাই পাপ একদিন পাকড়াও করবে, এই ভয় আর নেই শ্যাডোর মনে। কেননা, পাকড়াওটা করেই ওকে জেলে পাঠিয়েছে পাপ। আগামীকাল আর কতটা নিচে নামতে হবে, সেই আতঙ্কে আর কাঁপে না। কেননা যতটা নিচে যাওয়া সম্ভব, চলে এসেছে এরইমাঝে।