আঘাত কখন যে কার আসবে কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয়। রোলো মার্টিনকে প্রথম দেখার পর গোপন মিলিটারী ফাইলে এই মন্তব্যটি লিখেছিলাম। মার্টিনের দোষের মধ্যে, খুবই পানাসক্ত; ফলে মাঝে মধ্যে সামনে দিয়ে কোন মহিলা গেলে মন্তব্য করতে ছাড়ে না। স্বাভাবিক অবস্থায় তাকে ফুর্তিবাজ বলা যায় না, কিছুটা বোকা ধরণের। স্বাভাবিক অবস্থায় কথাটা লিখলাম এজন্য যে, হ্যারি লাইমের অন্ত্যেষ্টির সময় যখন তাকে দেখলাম তাই মনে হল।শীতকাল, চারদিকে বরফ পড়েছে, ভিয়েনার কেন্দ্রীয় গোরস্থানে বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে লোকগুলো খুড়ছে। বরফ সরিয়ে দেখে মনে হল প্রকৃতিও হ্যারিকে চায় না। যাইহোক হ্যারিকে কবর দেওয়া শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে মার্টিন চলে গেল, যেন পালাল। বছর পঁয়ত্রিশের মার্টিন বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। পরবর্তীকালে এজন্য প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিল। কাউকে একথা সে বলেনি, বললে হয়ত ঝামেলা এড়াতে পারত।