Cover image of কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী

কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী

হুমায়ুন আজাদ
প্রবন্ধ

প্রাথমিক অংশ

দু-দশক আগে আমার এক প্রিয় সম্পর্কে একটি বই লিখেছিলাম কিশোরতরুণদের জন্যে। প্রিয়র নাম বাঙলা সাহিত্য, বইটির নাম লাল নীল দীপাবলি। বইটি বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাস। তবে প্রথাগত রীতিতে আর ভাষায় লিখি নি ব’লে, আর লিখেছিলাম যেহেতু স্বপ্ন ও আবেগআলোড়িত কিশোরতরুণদের জন্যে, তাই তার রেখেছিলাম এমন নাম। কবিতা লেখার মতোই অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছিলাম বইটি; পাতায় পাতায় লেগেছিলো সৃষ্টিশীলতার ছোঁয়া। কয়েক বছর আগে আবার অনুপ্রাণিত হয়ে আমার আরেক প্রিয় সম্পর্কে লিখি এ-বইটি। এ-প্রিয়র নাম বাঙলা ভাষা। আমার ভেতরে এর নাম জেগে ওঠে কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী। এটিও প্রথাগত রীতি ও ভাষায় ও প্রাজ্ঞ পাঠকদের জন্যে লিখি নি। লিখেছি কিশোরতরুণদের জন্যে, যাদের কাছে বাস্তবও অনেকটা স্বপ্নের মতো। জ্ঞান যাদের কাছে এক রকম আবেগ ও সৌন্দর্য। আমার দুই অচ্ছেদ্য সম্পর্কে জড়িত প্রিয় সম্পর্কে কিশোরতরুণদের জন্যে দুটি বই লিখতে পেরে সুখ পাচ্ছি। এ-বইটি প্রথম বেরিয়েছিলো “ধানশালিকের দেশ”-এর একটি বিশেষ সংখ্যায়। আমার দুটি বই—ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না ও এটি—খুবই অল্প সময়ের মধ্যে লিখেছিলাম এ-পত্রিকার সম্পাদকের আগ্রহে। বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ বেরোলো, এতে সুখ পাচ্ছি। ভালো লাগবে যদি বইটি আবারো গ্রহণ করে আবেগ ও স্বপ্নকাতর কিশোরতরুণেরা, কিশোরীতরুণীরা।