একটু বেলা হলে বৃষ্টি ধরে এলো। তবে আবুল মাস্টারের উত্তরপাড়ার জমিতে পাট কাটা শুরু হয়েছে, শালার মাস্টার আজ আসবে না। ইস্কুলে গেলে জুত করে ভেলায় চাপা যায়। ইস্কুলের নিচে এবাদত মুন্সির বড় ভেলাটা বাঁধাই রয়েছে, লগির ১২-১৪টা ঠেলা দিলেই একেবারে ধলেশ্বরীর তীর। সাড়ে ১০টার লঞ্চে উঠে কাপড়ের গাঁটের ওপর বসে থাকা প্যাসেঞ্জারদের সামনে সুর করে ‘মা ফাতেমা কাইন্দা বলে বাপ কোথায় আমার/হায়রে নবীজির এন্তেকালে দুনিয়া জারজার’ গাইতে গাইতে বাঁ পাটা খুঁড়িয়ে হাঁটলে দুই-আড়াই টাকা জোগাড় করা এমন কিছু নয়। তারপর রামেশ্বরদী ঘাটে নেমে কদম আলীর দোকানে বসে চায়ে ভিজিয়ে বনরুটি খাও, পেয়ারা খাও, গাব খাও, পয়সা থাকলে চাই কি মেঘনা সিগ্রেটও একটা জুটে যায়। ১টা ৫০-এর লঞ্চে বাড়ি ফিরলে মায়ের সাধ্য কী ধরে যে ছেলে তার আধখানা পেটে জামিনের বন্দোবস্ত করে এসেছে।