যদু ঘোষ যে গজপতি রায়ের কাছ থেকে পঁচাত্তর টাকা পায়, এটা গড় হেকিমপুর গাঁয়ের সবাই জানে। শুধু জানে বললে কম বলা হয়, এই নিয়ে হাটেবাজারে নানা রকম আলোচনাও হয়ে থাকে। হওয়ারই কথা কিনা! কারণ, তল্লাটের সবাই জানে গজপতির টাকার লেখাজোখা নেই। কিন্তু বাইরে থেকে বোঝে কার সাধ্যি! বাবাকেলে একখানা সাদামাটা বাড়িতে থাকে, নিতান্তই সাদামাটা জীবন। বাজারে তার একটা ছোটমতো মুদির দোকান আছে বটে, কিন্তু তা থেকে তেমন কিছু রোজগার হওয়ার কথাও নয়। তবু গড় হেকিমপুরসহ আরও পাঁচটা গাঁয়ের লোক জেনে গিয়েছে গজপতি রায়ের অনেক টাকা।