ধার নেওয়াটাকে উনি ইনকাম বলেই মনে করেন। তাই শোধ দেওয়ার ঝামেলায় আর যান না। আমি কৈলাসবাবুর কথাই বলছি। মর্জিনার বাবা। তার ফলে ওঁর বাড়িতে প্রায়ই পাওনাদারদের হামলা হয়। তারা গালাগাল করে, মারতেও যায়। কৈলাসবাবুর গুণের দিকটাও বলতে হয়, এইসব সিচুয়েশনে উনি নির্বিকার থাকতে পারেন। নির্বিকার মানে একেবারেই নির্বিকার। কোনও হেলদোল নেই, উলটে তড়পানি নেই, কথার পিঠে কথাও নয়। বড় ধরনের সাধকদের এরকম গুণ আছে বলে শুনি। তাঁরা সব পরিস্থিতিতে অটল থাকতে পারেন বলে জানি৷ কৈলাসবাবু অনেকটা সেরকমই। মর্জিনাকে আমি প্রথম দেখি একটি যোগব্যায়াম প্রদর্শনীতে। সবচাইতে কঠিন আসনগুলো দেখিয়েছিল মর্জিনা। মনে হচ্ছিল মেয়েটার শরীরে হাড়গোড় নেই। ইলাস্টিকের মতো শরীরটাকে ও যেমন খুশি বাঁকাতে পারে।