অ্যারোপ্লেনটা ইস্টনভিল পাক দিয়ে ঘুরতেই কেড দেখতে পেল শহরের উত্তর দিকটা যেন শ্মশানের ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। কে জানত এখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ, কিন্তু এতটা ভাবেনি। সারা প্লেনে একটা ভয় তাকে কুরে কুরে খেয়েছে। এখন তার হাত-পা কাঁপতে লাগল, হৃৎপিণ্ড ধড়াস ধড়াস করতে লাগল। আর একটু মদ তাকে খেতেই হবে। মাথার ওপর আলোর সঙ্কেত যাত্রীদের বলে দিচ্ছে সীটবেল্ট পরে নিতে। সিগারেট খাওয়া এখন চলবেনা। নাঃ, এয়ারহোস্টেস ওকে এখন আর মদ দেবে না। ইতিমধ্যে কেড আটটা ডাবল হুইস্কি শেষ করেছে। এয়ারহোস্টেসটা বিরক্ত হয়ে উঠেছিল শেষের দিকে। হৃৎপিণ্ড যতই লাফাতে থাক কেড বুঝল প্লেন না থামা পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতেই হবে।