১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে নির্বাচনের পর থেকেই কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে তিক্ততা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মার্চ লাহোর প্রস্তাব বা পাকিস্তান প্রস্তাব গ্রহণের পরে দ্রুতগতিতে কংগ্রেস-লিগ মতান্তর হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। জিন্নার নেতৃত্বে মুসলিম লিগ পাকিস্তান প্রস্তাবকে রূপায়িত করতে সচেষ্ট হয়। অন্যদিকে কংগ্রেস ভারতবর্ষের অখন্ড রূপকে বজায় রেখে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে, হিন্দু মহাসভা অখন্ড হিন্দুস্থানের দাবিতে মুখর হয়ে ওঠে। মোটকথা, হিন্দু ও মুসলিম এই দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যবধান আরও বৃদ্ধি পায়। স্বভাবতই বিদেশি শাসক এই অবস্থার সুযোগ পুরোপুরি গ্রহণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরিসমাপ্ত হওয়ার পরে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয়দের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয় নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়। একই সময়ে ভারতের সর্বত্র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঢেউ প্রবাহিত হয়। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট কলকাতায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। একটানা চারদিন এই দাঙ্গা চলে। ২০ আগস্ট ঢাকাতে দাঙ্গা হয়। এই অবস্থায় ২ সেপ্টেম্বর ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ (Interim Government) গঠিত হয়। প্রথমে মুসলিম লিগ এই সরকারে যোগদান করেনি।