১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে কর্নওয়ালিশ যখন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন তখন তিনি ধসে-পড়া প্রাচীন জমিদারদের তাঁর পন্থা অনুকরণে নির্ভরশীল সঙ্গী করতে ভরসা পাননি। সুতরাং, তিনি এমন এক নতুন জমিদার শ্রেণি তৈরি করেন যাঁরা জাতীয় ঐতিহ্য ও বিবেকের দ্বারা পরিচালিত নন। যাঁদের নিয়ে তিনি চিরকালের জন্য ব্রিটিশ শাসনের প্রয়োজনে কৃষির উন্নতির সম্ভাবনা অকেজো করে রাখতে পারবেন এবং যাঁরা সহজেই নিজেদের ব্রিটিশ শাসনের রক্ষাকারী একটি ভূম্যধিকারী শ্রেণিতে পরিণত করবেন। আর যাঁদের ওপর তিনি এই বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবেন যে, তাঁরা দেশকে কৃষিমূলক স্তরে আবদ্ধ রাখবেন এবং স্বদেশি ব্যাবসা, বাণিজ্য ও শিল্প থেকে অধিকসংখ্যক মানুষকে সরিয়ে নিয়ে এসে সেই শূন্যস্থান ইংল্যাণ্ড ও বিদেশ থেকে আমদানি করা শিল্পজাত দ্রব্যে ভরে দেবেন।১ এই উদ্দেশ্য সামনে রেখেই কর্নওয়ালিশ ভূমির ওপর জমিদারদের সম্পত্তিগত অধিকার দান করেন। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণেই কর্নওয়ালিশ এই পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হন। খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের উদ্দেশ্য ছিল : (১) সরকারি রাজস্বের নিরাপত্তা বিধান করা।