প্রাথমিক অংশ

ঘরের এমন জায়গায় বসে আছে ও যে, ঘরের সামনের ওই টানা লম্বা দালানটার কোনওখান থেকেই দেখা যাচ্ছে না ওকে। যেতে নয়, আসতে নয়। দেখা যাচ্ছে না, অতএব দেখা যাচ্ছে না কোন মুখ নিয়ে বসে আছে ও। ঘরটা একতলায়, বাগানে নেমে ঘুরে ওই পশ্চিমের জানলার নীচে গিয়ে দাঁড়ালে দেখা যেত, কিন্তু কলঙ্কের কালিমাখা ওই নির্লজ্জ মুখটা দেখতে যাবার রুচিই বা কার হবে? ওকে যে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে, সে কেবল চাকর বাকরদের কৌতূহলী চোখ থেকে আড়াল করতে। অবশ্য জেনেছে ওরা সবই, বাড়ির চাকরবাকরদের জানতে কিছু বাকি থাকে না। সংসারের সবচেয়ে গোপনতম খবরটি ওরাই সবচেয়ে আগে জানে। রদ করা যায় না। তবে তাদের সেই জানার খবরটা আমরা জেনে ফেলেছি, সেটা না জানানোই প্রেসটিজ। আমরা তোমাদের বলিনি অতএব তোমরা কিছু জানো না। তোমরা অন্ধ, তোমরা কালা এবং তোমরা বোবা হবে, ব্যস! গরিব গেরস্তরা একটা আধটা লোক পোষে, মানসম্মান বজায় রাখতে পারে না, দাসী চাকরের সামনে সংসারের সুখ দুঃখের কথা কয়। হয়তো বা তাদের সঙ্গেই কয়। অভিজাতদের ঘরে এ সব চলে না।