প্রাথমিক অংশ

মিনি বাসের জানলা দিয়ে দৃশ্যটা দেখতে পেলেন ভবদেব। অবিশ্বাস্য মনে হল। নীরা এ সময় এখানে কী করতে আসবে? দৃষ্টির ক্ষমতাকে বাড়াবার চেষ্টা করলেন, কিন্তু ভবদেব নামের বিস্ময়াবিষ্ট ভদ্রলোকটিকে নিরীক্ষণ করে দেখবার জন্যে বাস তো আর ঢিমে চাল ধরবে না। বিশেষ করে মিনিবাস। ঝড়ের বেগে বেরিয়ে যাবার জন্যে যেন সর্বদা লডুয়ে মনোভাব নিয়েই কারবার চালায়। একবার ভাবলেন বাস থামিয়ে নেমে পড়ে দেখবেন না কি? ভেবে লজ্জা পেলেন। চোখের ভুলও তো হতে পারে! খামোকা নেমে পড়ে আবার একটা বাস পাওয়া তো খুব সহজ নয়। ভাবতে ভয় করে। হাঁটাপথের সীমার মধ্যে বরং ভবদেব অনেক স্বস্তিবোধ করেন। দূরের ব্যাপার হলেই যেন হৃৎকম্প হয়। বাস-ট্রাম শব্দ দুটোই ভয়াবহ। বন্দনা বলেন, এটা তোমার বাড়াবাড়ি! আজন্ম তো বাসে ট্রামে চড়েই পয়লট্ট করেছ। এই তেরো চোদ্দটা বছর না হয় গাড়ির সুখ জুটেছিল। তাও তো নিজের গাড়ি নয়, কোম্পানির দাক্ষিণ্যের। এতেই এত অব্যেস খারাপ হয়ে গেল? বন্দনার ধিক্কারে তিক্ততা না থাক, টক ঝালের স্বাদ থাকে।