স্বদেশে ফেরার জন্য ভাইকিংদের আগ্রহ তুঙ্গে উঠল। এখন ওরা কোন কথা শুনতেই রাজি নয়। স্বদেশে ফিরবেই। কিন্তু ফ্রান্সিস? তাকে বোঝাবে কী করে? হ্যারি ব্যাপারটা আঁচ করতে পারল। কিন্তু ফ্রান্সিসকে কিছু বলল না। ও দেখবার জন্যে অপেক্ষা করতে লাগল বন্ধুরা কী করে। ভাইকিং বন্ধুরা হ্যারিকে বলল—তুমিই ফ্রান্সিসকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে দেশে ফেরার জন্য রাজি করাও। হ্যারি বলল–ফ্রান্সিস আমার কথা শুনবে না। –তুমি ওর প্রাণের বন্ধু। তোমার কথা শুনবে না। –না। ও যা মনস্থির করে তাই করে। কারো মতামত গ্রাহ্য করে না। হ্যারি বলল। –তাহলে উপায়? বন্ধুরা বলল। –আমার অবশ্য বলা উচিত না তবু বলছি একমাত্র রাজকুমারীই পারে ফ্রান্সিসকে রাজি করাতে। হ্যারি বলল। –ঠিক বলেছো। আমরা রাজকুমারীকে বলবো। বন্ধুরা বলল। মারিয়া প্রতিদিন সূর্যাস্ত দেখতে জাহাজের রেলিং ধরে দাঁড়ায়। সেদিনও এসেছে।