Cover image of ভাঙা আয়নার রহস্য

ভাঙা আয়নার রহস্য

অনিল ভৌমিক
এডভেঞ্চার

প্রাথমিক অংশ

ফ্রান্সিসদের জাহাজ চলেছে। বাতাসের তেমন জোর নেই। পালগুলো প্রায় নেতিয়ে পড়ছে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া ছুটে আসছে। তখনই পালগুলো ফুলে উঠেছে। পরক্ষণেই আগের মতো। বেশি কিছুক্ষণের আগে পশ্চিম দিগন্তে গভীর কমলা রঙের সূর্য অস্ত গেছে। আকাশে লাল আলো ছিল ছড়িয়ে। এখন সব অন্ধকার। আকাশে ভাঙা চাঁদ। জ্যোৎস্না খুব উজ্জ্বল নয়। তীরভূমির কাছ দিয়ে জাহাজ চলেছে। ভাইকিংরা ডেক-এর এখানে-ওখানে শুয়ে। বসে ছিলে। জাহাজের গতি বেশ কমে গেছে। হ্যারি ডেক-এ উঠে এলো। দেখল জাহাজের শ্লথগতি। ও সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামল। চলল ফ্রান্সিসের কেবিনঘরের দিকে। কেবিন ঘরের সামনে এসে হ্যারি দরজায় টোকা দিল। মারিয়া দরজা খুলে দাঁড়াল। বলল–কী ব্যাপার হ্যারি! সমস্যায় পড়েছি। ফ্রান্সিস ডাকল–হ্যারি ভেতরে এসো। হ্যারি কেবিন ঘরে ঢুকল। বলল-বাতাস একেবারে পড়ে গেছে। সব পাল নেতিয়ে পড়েছে। জাহাজের গতি কমে গেছে। কী করবে বলো। –আমি বিকেলে ডেক-এ গিয়েছিলাম। দেখেছি সব। হাওয়ার গতি না বেড়ে ওঠা পর্যন্ত এভাবেই যেতে হবে। ফ্রান্সিস বলল।