সন্ধ্যে থেকেই বাতাস পড়ে গেছে। আকাশে গভীর কালো মেঘ জমছে অনেকক্ষণ থেকেই। ফ্রান্সিসরা ঝড়ের পূর্বাভাস ভালোই বোঝে। সন্দেহ নেই ঝড় বৃষ্টি হবে। ওরা সাবধান হল। জাহাজের পালে হাওয়া নেই। পালগুলো নেতিয়ে পড়েছে। হ্যারি ফ্রান্সিসের কেবিনঘরের কাছে এল। সঙ্গে সিনাত্রা। ফ্রান্সিসের কেবিনঘরের দরজায় টোকা দিল। মারিয়া দরজা খুলে দিল। ঘরে ঢুকে হ্যারি বলল–ফ্রান্সিস আকাশের অবস্থা ভালো নয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রচণ্ড ঝড় আসছে। কী করব? ফ্রান্সিস একটু ভাবল। বলল–একেবারেই সময় নষ্ট করা চলবে না। সবাইকে রাতের খাবার খেয়ে নিতে বলল। বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ফান্সিস বলল–চলো। ডেক এ যাবো। –তাহলে ঝড় বৃষ্টি হবে? মারিয়া বলল। –হ্যাঁ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝড়ের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে হবে। সিনাত্রা বলল। মারিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ফান্সিসরা সিঁড়িঘরের দিকে চলল। ডেকএ উঠল। বন্ধুরা ভিড় করে এল। ফ্রান্সিস চারিদিক ভাল করে তাকিয়ে দেখল। ঝড়ের পূর্বাবস্থা। দক্ষিণ দিগন্তে বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হয়েছে। ভেজা হাওয়া ছুটে আসছে। ফ্রান্সিস’বলল। দূরে নিশ্চয়ই কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। বেশি দেরি করা চলবে না।