কালীপুজো শেষ হয়ে গেছে। ভাইফোঁটাও চলে গেছে। দীপিতার কোনো ভাই নেই। বিয়ের আগে কলকাতাতে যখন বড়োমামার কাছেই থাকত বরানগরে, তখন মামাতো দিদির সঙ্গে মেজোমামার ছেলেকে ফোঁটা দিত। বিয়ের পর সেই যে, ডালটনগঞ্জে এসেছে তারপর থেকে মামা-মামিরাও দু-একটা চিঠিতে ছাড়া আর খোঁজ নেননি। দীপিতার শ্বশুরবাড়ি থেকেওসে কারণেই দীপিতার মামাতো ভাইকে কখনো ভাইফোঁটাতে আসতে বলা হয়নি। দীপিতাদের মাতৃকুল বরিশালের। সেখানে ‘জামাইষষ্ঠী’ ব্যাপারটা নেই নাকি। সেই কারণে প্রতিবছর জামাইষষ্ঠী এলেই দীপিতাকে তার শাশুড়ির কাছে নতুন করে কথা শুনতে হয়। তার স্বামী অমল অবশ্য নিজে কিছু বলে না। প্রথম প্রথম ঠাট্টা করত। কিন্তু মনে কোনো দুঃখ রাখেনি। সে দিক দিয়ে মানুষটা ভালোই।