প্রাথমিক অংশ

রেলিং-এ বসে বানজার নদীর যেদিকটা দেখা যাচ্ছে, সেদিকটাতেই কানহা টাইগার প্ৰিসার্ভ-এর কোর-এরীয়া। ভারী সুন্দর এই নদী বানজার। আই-টি-ডি-সি’র মধ্যপ্রদেশের মুক্কি-লজ-এর একটু উপরে কতগুলো পাথরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়াতে সবসময়ই প্রপাতের মতো একটানা আওয়াজ হয় ঝরঝরানির। পেছন থেকে সেই আওয়াজ রোদ-পিছলানো জলের উপর নাচতে নাচতে দৌড়ে আসছে। সামনে, পুরনো ভেঙেপড়া কজওয়েটা। আগে তার উপর দিয়েই সরু রাস্তা ছিল। কজওয়ের নিচ দিয়ে কিছুটা বয়ে গিয়েই বাঁক নিয়েছে। বাঁয়ে। রাতের শিশিরে এখনও গা-মাখা, থোরের রঙের পেলব বালির চর। সোনালি চুলের পরিচ্ছন্ন ও চিন্তাশীল একদল হনুমান সেই চর-এর ছির ঘাস-এর মধ্যে কোনও জরুরি ব্যাপার নিয়ে পরামর্শে ব্যস্ত। পশ্চিমের জঙ্গল থেকে প্রায়-উড়াল, বড় বড় বাদামী কাঠবিড়ালিদের লাফানো-ঝাঁপানো চিকচিক আওয়াজ আর বনে বনে গভীর প্রতিধ্বনি-তোলা, হনুমানদের হুউপ-হুউপ-হুউপ বানজারের জলকে যেন চমকে দিচ্ছে।