এদিকের জঙ্গলে কখনও আসিনি ঋজুদার সঙ্গে। ঋজুদাও যে এর আগে খুব বেশি এসেছে মধ্যপ্রদেশে, এমনও নয়। তবে, বার দশেক এসেছে। ঋজুদার ভালবাসার জায়গা ছিল হাজারিবাগ, পালামৌ, রাঁচি এবং ওড়িশার মহানদীর অববাহিকা। সুন্দরবন এবং আফ্রিকার কথা বাদ দিয়েই বলছি। এখন তাকে মধ্যপ্রদেশে পেয়েছে। দারুণ লাগে! ঋজুদা বলে। মিস্টার ভটকাইয়ের মেজকাকা বহুদিন হল মধ্যপ্রদেশে আছেন। ঋজুদা অ্যান্ড কোম্পানিকে বহুবার দাওয়াতও দিয়েছেন। তিনি জবলপুরের পাচপেডিতে থাকেন, সিভিল লাইন্সে। আর্মিতে ফুলকর্নেল ছিলেন। রিটায়ার করে নর্মদায় মাছ ধরছেন আর বড় নাতিকে বাংলা পড়াচ্ছেন। এই তাঁর হোলটাইম অকুপেশান। পার্টটাইম অকুপেশান কাকিমার সঙ্গে ঝগড়া করা। কাকিমা ভাল গান গাইতেন একসময়। এখন মোটে রিয়াজ করেন না। তাই মেজোকাকা ব্যাপারটাকে ঝগড়া না বলে কণ্ঠ-চর্চা বলেন, স্ত্রীকে প্র্যাকটিস দেন, যাতে গলাটা থাকে। কাকার গলা ‘তারা’য় বলে। ঋজুদাকে তিনি একাধিক চিঠি দিয়েছিলেন আসার আগে নিমন্ত্রণ জানিয়ে। তাই আমাদের এই আগমন। কাকার ভাষায়, ধন্য হলাম আমরা। কাকা ধন্য হলেন অথবা ঋজুদা ধন্য করলেন, তা জানি না। আমি আর ভটকাই রিয়্যালি হ্যাপি।