রবিবার ছাড়া প্রতিটি সকাল একেবারে ঘড়ির কাঁটায় বাঁধা। বাড়িতে ঘড়ির সংখ্যা একুশটি, জ্ঞানব্রতর খুব ঘড়ির শখ। দেশে-বিদেশে যখনই বেড়াতে যান, বিভিন্ন আকৃতির একটি করে ঘড়ি সংগ্রহ করে আনেন। এগুলোতে চাবিও দেন তিনি নিজের হাতে। এ ছাড়া ডাইনিং হলে আছে একটি বড়ো দেওয়াল ঘড়ি। এটা জ্ঞানব্রতর বাবার আমলের। এখনও বেশ চলে, দু-এক বছর অন্তর অন্তর অয়েলিং করতে হয় শুধু। টক টক টক টক করে সেটিতে প্রতি মুহূর্তের শব্দ হয়। জানিয়ে দেয় যে সময় চলে যাচ্ছে। ঘণ্টা বাজবার একটা খর-র-র খ-র-র আওয়াজ ওঠে, সেই আওয়াজ শুনলেই রান্নাঘরে কান খাড়া করে রতন। ডেকচিতে গরম জল চাপানোই থাকে, ন-টা বাজবার সঙ্গেসঙ্গে সে এসে বলবে, বাথরুমে স্নানের জল দেব? বারোমাসই গরম জলে স্নান করা অভ্যেস জ্ঞানব্রতর।