প্রাথমিক অংশ

শিশিরকুমার বললেন, আর একটু গতি আনতে গেলে কবি তাঁকে বাধা দিয়ে বললেন, স্পষ্ট করে বলো তো, এ নাটক মঞ্চ-উপযোগী হয়নি? শিশিরকুমার বললেন, আপনি নিশ্চয়ই পারবেন। আপনি অসাধ্যসাধন করতে পারেন। কিন্তু আমি ঠিক ভরসা পাব না। আমি তো দর্শকদের মর্জি বুঝি। আমি বরং ‘বিসর্জন’-ই…। কবির মুখ খানিকটা রক্তিম হয়ে উঠেছে। উষ্মার সঙ্গে বললেন, মোট কথা, তুমি বলছ, এই গোড়ায় গলদ নাটকটা অপদার্থ হয়েছে! এরপর কবি একটি অদ্ভুত কাণ্ড করলেন। ফ্যাঁস ফাঁস করে ছিঁড়তে লাগলেন নাটকের পাণ্ডুলিপি। অনেকের চোখ কপালে উঠে গেল। ছিন্ন অংশগুলি মাটিতে ফেলে দিয়ে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, চারু, দেখো অতিথিদের যেন অযত্ন না হয়। ওঁদের আর একদিন থেকে যেতে বলো!