যারা জীবনে কখনো দিকশূন্যপুরে যায়নি, কিংবা সে জায়গাটার নামও শোনেনি, তারা বুঝতে পারবে না তারা কী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার অস্তিত্বই জানা নেই, তাকে না–পাওয়ার তো কোনো দুঃখ থাকে না। কিন্তু যারা দিকশূন্যপুরে একবার গেছে, কিন্তু বারবার ফিরে যেতে পারেনি, তাদের অতৃপ্তির শেষ নেই। আমি মাঝে মাঝে সেই জায়গাটার কথা ভাবি, কিন্তু আমারও যাওয়া হয়ে ওঠে না। কেউ আমাকে ডেকে নিয়ে যায় দক্ষিণে, কেউ উত্তরে। এই তো কয়েকদিন আগে নিলয়দার সঙ্গে নর্থ বেঙ্গল ঘুরে এলুম, সেখানে সামসিং ডাক– বাংলোয় নিলয়দার পা ভাঙল। তার আগে প্রবালের সঙ্গে যেতে হলো পুণায়। সেখানে ফেরার ট্রেনের টিকিট হারিয়ে ফেলে কী কাণ্ড! প্রবাল সব দোষটা চাপিয়ে দিলে আমার ঘাড়ে। আমার জামার পকেট ফুটো ছিল, তা কি আমি জানতুম? প্রবালের কাছে আর যা টাকা বাকি ছিল, তাতে মাত্র একজনের ফেরার ভাড়া হয়। প্রবাল আমায় বলেছিল, তুই থেকে যা, আমার জরুরি কাজ আছে, ফিরতেই হবে!