প্রাথমিক অংশ

একাত্তরের আগুন নিভে গেলেও উত্তরবাংলায় কিছু তরুণ-তরুণী অস্থিরতায় ভুগেছে। আজ তারা কোথায়, জানি না। কিন্তু কারও কারও মুখ মনে পড়ে, যারা সেদিন দাউ দাউ আগুন জ্বালাতে চেয়েছিল। হায়! আগুন জ্বলে দাহ্য বস্তু পেলে, এ তথ্যটাই তারা জানত না। এই সময়ে এসে যখন আর এক অগ্নিসন্ধানী দল দেখতে পাচ্ছি, তখন ওই সময়ের কথা লিখতে বড় ইচ্ছে করল। এ উপন্যাস হয়ত এই সময়ের পূর্ব-কথন। কাঠকয়লার আগুন সন্তানের রক্তে কি পূর্বপুরুষ বা পূর্বসূরির অস্তিত্ব সুপ্ত থাকে? বিজ্ঞান বলছে, জিন কথা বলে। বনবিহারী তার আশ্রিতা মামণির শিশুর নামকরণ করেছিলেন, সন্তান। যে তার মৃত বাবাকে দ্যাখেনি, মায়ের সঙ্গে যার কোনওদিন যোগাযোগ ঘনিষ্ট হয়নি। বনবিহারী চোখের ওপর দেখলেন, সন্তানকে তার বাবার পথে হাঁটতে। এই সময়ের একটা ক্ষুদ্রচিত্র ধরার চেষ্টা করেছি কাঠকয়লার আগুনে। যে আগুন আপাতচোখে নিভে গেছে বলে মনে হলেও সহজে নিভতে চায় না।